আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ আশুলিয়ায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এঘটনায় শামীম নামের একজন ভুক্তভোগী আহত হয়েছে। বুধবার সকালে ছিনতাইচক্রের ২সদস্যকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরআগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নবীনগর জয় রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা (নং ৭৬) দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ মেহেদী হাসান (১৯) ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার এনায়েতপুর এলাকার মোঃ বাবুল মিয়ার ছেলে। অন্যজন হলো মোঃ তামিম হাসান(২০) কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার বৈরাগী চরের মোঃ মুনতা মন্ডলের ছেলে। সে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ বাঁশবাড়ী এলাকায় ভাড়া থেকে তার সহচর মেহেদীর সাথে বিভিন্ন স্থানে এই ছিনতাই করে আসছে।
ভুক্তভোগী মোঃ শামীম হোসেন(৩৩) জামালপুর জেলার বানারের পাড় গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে। তিনি আশুলিয়ায় থেকে চাকরি করেন।
ভুক্তভোগী শামীম হোসেন বলেন, আমি গতকাল সন্ধ্যায় সেনা শপিং কমপ্লেক্স থেকে কেনাকাটা করে পায়ে হেঁটে নবীনগর জয় রেস্তোরাঁর সামনে গেলে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেল যোগে আমার সামনে এসে গতিরোধ করে। এরপর আমাকে মারবে বলে তাদের হাতে থাকা চাকু দিয়ে ভয় দেখায় এবং আমার কাছে যা আছে তা বের করে দিতে বলে। আমি দিতে রাজি না হলে একপর্যায়ে আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। আমার আর্তচিৎকারে লোকজন ছুঁটে এসে আমাকে উদ্ধার করে। সেই সাথে তারা ছিনতাইকারী দুজনকে ধরে টহলরত পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এঘটনায় আহত হই। পরে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই। এরপরে থানায় মামলা দায়ের করি।
এবিষয়ে জানতে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ নুরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না, বক্তব্য দিবে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। আপনারা মামলার নকল দেখেন তাতে বিস্তারিত দেয়া আছে। পরে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মমিনুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং তাদেরকে আটক করে আদালত পাঠানো হয়েছে।