সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেলুনে কাজ করা এক শীলকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে সাভার উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ উদ্দিনের আপন চাচাতো ভাই মহসীন দেওয়ানের বিরুদ্ধে। এঘটনায় আহত ওই শীলকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে আশুলিয় বাজারের সেবা ক্লিনিকের সামনে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত মহসীন দেওয়ান আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার মগরব আলী দেওয়ানের ছেলে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী শীল শ্রী রতন চন্দ্র আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর এর মার্কেটে একটি সেলুন পরিচালনা করেন।
ভুক্তভোগী শ্রী রতন চন্দ্র শীল বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়া ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন মাদবরের মার্কেটে একটি সেলুন পরিচালনা করে আসছি। গত ঈদের আগে থেকেই নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ উদ্দিনের আপন চাচাতো ভাই মহসীন দেওয়ান আমাকে এলাকা ছাড়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলো। না যাওয়ায় কিছুদিন আগেও আমাকে বকাবকি করে। আজকে বিকেলে বাসায় খেতে যাওয়ার সময় আমার গতিরোধ করে কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারধর করে। আমি তখন তার হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়েও আমাকে বাসার সামনে থাকা ঝাড়– দিয়ে মারধর করেছে। আমার কান কেটে রক্ত পড়ছে। আমার দুই পা, কোমর এবং শরীরে এলোপাথারিভাবে মারধর করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মার্কেটের মালিক শাহাবউদ্দিন মাদবর গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ঈগল) নির্বাচন করেছে এবং তার প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। এরপর থেকেই এই আসনের নতুন সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের ঘনিষ্ট সহযোগী ইমতিয়াজ উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের বিপরীত প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। যেহেতু আমি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের মার্কেটে দোকান করি এবং তার বিভিন্ন কাজকর্ম করে দেই, তাই আমাকে এলাকা ছাড়া করার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে। আজকের মধ্যে এলাকা ছেড়ে না গেলে মহসীন দেওয়ান আমাকে জবাই করবে বলে হুমকি দিয়েছে। মারধর ও হামলার ঘটনায় আমি পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কে আছি। আমি এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা বলেন, আহত রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার কান ছিড়ে রক্ত পড়ছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুরোপুরি সুস্থ্য হতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে মহসীন দেওয়ানের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত হোসেন বলেন, শেলুনে কাজ করা একজন শীলকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে যায় ক্ষমতার দাপটে ভুক্তভোগীকে অন্যায়ভাবে মারধর করেছে মহসীন দেওয়ান। এঘটনায় অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।