সাভার সংবাদদাতাঃ সাভারে রানা ধ্বসে পড়া রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের স্থায়ী পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা প্রদানসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানবন্ধন ও সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা। এসময় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও আহত-নিহতের স্বজনেরা কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন। শুক্রবার সকালে সাভার থানা রোডের সাভার প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের দাবি আদায় আন্দোলনের ব্যানারে এসব কর্মসূচী পালন করেন তারা।
ভুক্তভোগীদের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, রানা প্লাজা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত গার্মেন্টস মালিক,ভবন মালিক, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ যারা জড়িত আছে সকলকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করা। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের নামে সরকারি জায়গা বরাদ্দ দিয়ে স্থায়ী পূর্ণবাসন করা। রানা প্লাজায় আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অনুদানের টাকা আত্মসাৎ কারীদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারকে দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা। যে সকল ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করা হয় নাই তাদের অ্যাকাউন্ট করা এবং রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অনুদানের টাকা আত্মসাতকারী রাজনৈতিক নেতা, শ্রমিক নেতা ও এনজিওদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা।
আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, রানা প্লাজার আহত শ্রমিকদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদান এসেছিল। সেসময় সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান ও তার স্ত্রী রওশনারা বেগম সেই টাকা আত্নসাত করেছে। রাজনৈকিতভাবে এতো দিন কোনঠাসা থাকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এসময় তিনি অবিলম্বে আত্নসাতকৃত টাকা শ্রমিকদের কাছে বিতরণের জন্য আহ্বান জানান।
এসময় শ্রমিক সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শাহ আলম হোসেন, রানা প্লাজার শ্রমিক নুরুল ইসলাম, কবির, নিলুফা আক্তারসহ রানা প্লাজা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের দাবি আদায়ে আন্দোলন নামে গঠিত ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্য ও তাদের স্বজনেরা। এছাড়া তাদের এই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও জুলাই বিপ্লবের নেতৃবৃন্দ এবং শ্রমিক নেতারা।
সমাবেশে শ্রমিক নেতা শাহ আলম বলেন, রানা প্লাজা শ্রমিকদের নামে কোটি কোটি টাকা সরকারিভাবে অনুদান আসলেও সেই টাকা শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসায় ব্যয় না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। অর্থের অভাবে শ্রমিকরা চিকিৎসা নিতে পারছেনা। চিকিৎসার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা হলেও এখান থেকে শ্রমিকদের কোন সহযোগিতা না করে টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত সাবেক মন্ত্রী এমপি ও আমলা সহজ শ্রমিক নেতাদের বিচার দাবি ও আত্মসাত করা টাকা উদ্ধারের দাবি জানান।