আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় মেসার্স মজিবর এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার মজিবুর রহমানকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছে রাজেশ দে নামের এক ব্যক্তি। পরে স্থানীয়রা ভুক্তভোগী ওই ঠিকাদারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার দুপুরে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে রিকশায় করে ব্যাংকে টাকা দিতে যাওয়ার সময় আশুলিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া রাজেশ দে ময়মনসিংহ জেলার সদর থানার ডিবি রোড মহল্লার ভজন দে এর ছেলে। সে মেসার্স মজিবর এন্টারপ্রাইজে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার সুবাদে মালিকের সাথে ব্যাংকে যাওয়ার সময় তাকে অচেতন করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের মাছুয়াকান্দা গ্রামের মোঃ কাইয়ুম খানের ছেলে। সে আশুলিয়ার পাড়াগ্রাম নয়াপাড়া এলাকায় থেকে মেসার্স মজিবর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করনে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানায়, রাজেশ দে একটি প্রতারক চক্রের সদস্য। সে এর আগে একাধিকবার টাকা ছিনতাই করেছে। রাজেস দে মেসার্স মজিবর এন্টারপ্রাইজের মালিক মজিবুর রহমানকে ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট করে ৫ লাখ টাকা জমা রাখার জন্য আশুলিয়া বাজারে যায়। পরে মালিক মজিবুর রহমানকে কৌশলে নেশাদ্রব্য খাইয়ে সচেতন করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে ৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মজিবর রহমানকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার মজিবুর রহমান।
ভুক্তভোগী ঠিকাদার মজিবুর রহমান বলেন, আমার সাথে প্রতারনা করে আমার ম্যানেজার রাজেস দে ৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে উপযুক্ত সম্মানী প্রদানের কথাও জানান তিনি।
জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবকর সিদ্দিক বলেন, এরকম কোন অভিযোগ আমি পাইনি। তবে অভিযোগ হলে অবশ্যই সেটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনা করা হবে।