ধামরাই প্রতিনিধিঃ ঢাকার ধামরাইয়ে আসন্ন দুর্গা পূজোকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। নিপুণ হাতে কাঁদামাটি, খড়, বাঁশ, সুতলি আর রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। প্রতিমা তৈরির কাজে দিনরাত কাজন করছেন ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে কারিগররা। প্রতিমার পূর্ণরূপ দিতে ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গা, লক্ষী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের প্রতিমা। মন্ডপে মন্ডপে চলছে অবকাঠামো তৈরির কাজ কোথাও চলছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ, আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ।
ধামরাই পৌরসভায় এবার ৪৪ পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে। তার মধ্যে ধামরাই উপজেলার সবচেয়ে সুপ্রাচীন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বড় বাজার সার্বজনীন শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির, কায়েতপাড়া সার্বজনীন শ্রীশ্রী দুর্গা পূজা মন্ডপ, ধামরাই ঐতিহাসিক শ্রীশ্রী যশোমাধব দেবের রথমেলার যাত্রাবাড়ী পূজা মন্ডপ, ইসলামপুর পূজা মন্ডপ, ঐতিহাসিক মাধববাড়ির ঘাটের পূজা মন্ডপ, ঐতিহাসিক রথ এর দুই পাশের পূজা মন্ডপ উল্লেখযোগ্য।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ঘরে ঘরে দেবীদুর্গার আগমনী বার্তা। আর কিছুদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাই পৌরসভাসহ ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে দুই শতাধিক পূজা মন্ডপে দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকার ধামরাইয়ের মৃৎশিল্পীরা।এছাড়াও ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ১৭৫টি সহ উপজেলায় মোট ২১৯ টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ১৪ই অক্টোবর -২০২৩ শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
প্রতিমা শিল্পী রাহুল পাল বলেন, ‘মায়ের কাজ করতে ভালো লাগে। মায়ের রূপ অন্তরে নিয়ে কাজ করি। মা দুর্গার জন্য ভোর থেকে মাঝরাত অবধি কাজ করেও ক্লান্তি আসে না। তিনি জানান, দুর্গাপূজার জন্য একটা পুরো সেট প্রতিমা বানাতে ৫ থেকে ৬ শিল্পীর অন্তত ১৫ দিনের মতো সময় লাগে। অন্যান্য বছর ৮ থেকে ১০টা প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেলেও এবার কমে গেছে। এ বছর তিনি পেয়েছেন মাত্র পাঁচটি প্রতিমা তৈরির কাজ।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শ্রী নির্মল কুমার দাস বলেন আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎস-২০২৩ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন করার জন্য প্রতিবারের মতো এবারও প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, সনাতনধর্মালম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারী বরাদ্দ আসা মাত্র সকল পূজা মন্ডপের কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় করে সরকারি বরাদ্দকৃত চাউলের ডিউ লেটার তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। সকল পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ, আনছার বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে বলে জানান।