প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ দেওয়ান ইদ্রিস ল’ কলেজে অবৈধভাবে এলামনাই গঠন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে দুইজন শিক্ষকের যোগসাজসে এই অবৈধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে দেওয়ান ইদ্রিস ল’ কলেজের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০০৫ সাল থেকে ছাত্রছাত্রীরা এল.এল.বি পরীক্ষায় ১ম অংশগ্রহণ করে।
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থীরা জানায়, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের আইন শেখানো হয়, সেখানে শিক্ষরাই আইন অমান্য করে রাতের আধারে বৈধভাবে এলামনাই গঠন করে। অত্র কলেজে মোট ৮ জন শিক্ষক আছেন। এলামনাই গঠন করার সময় মাত্র ২জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তাই অবিলম্বে উক্ত অবৈধ কমিটি বাতিলের জন্য দেওয়ান ইদ্রিস ল’ কলেজের সাবেক ছাত্রছাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এলামনাই গঠন করার বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফিরোজ হাওলাদার এর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বিষয়টি জানেন না। কলেজের সমন্বয়ক আব্দুস সালাম এর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনিও বিষয়টি জানেন না।
এছাড়া গর্ভনিং বডির সভাপতি সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাজহারুল ইসলাম এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনিও উক্ত বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাহলে কিভাকে এলামনাই গঠন করা হলো।
গত ২০ বছরে প্রায় ১ হাজার ছাত্রছাত্রী এই কলেজ থেকে এল.এল.বি পাশ করেছেন। কমিটি গঠনের বিষয়ে তারা কেউ জানেন না। সম্মতি রিইউনিয়ন বাস্তবায়ন করার জন্য ২৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল এলামনাই গঠন করার সময় আহবায়ক কমিটির ২৭ জনের মধ্য থেকে ২জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল।
কোন নিয়ম-কানুন না মেনে ছাত্রছাত্রীদের অবহিত না করে, নির্বাচনী নিয়ম না মেনে মাত্র ২জন শিক্ষক চলমান ১ ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করছেন। কলেজের প্যাডে দেয়া যায় সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করছেন রিটার্নিং অফিসার অ্যাডভোকেট মো: রিয়াজুল ইসলাম পরশ এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার অ্যাডভোকেট মো: ওবায়দুর রহমান।