প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের দাবীতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের দাবীতে মহাসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষানবিশ আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও আইন শিক্ষার্থীবৃন্দ। এসময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ প্রায় ৩হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত মহাসমাবেশে এ. কে. মাহমুদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বার শিক্ষানবিশ আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বাবুল মোড়ল, ঢাকা বার এর শিক্ষানবিশ আইনজীবী মনির হোসেন, মো: কামাল হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস, মুন্নি আক্তার, মিলি আক্তার, নিলা আক্তার এবং কুমিল্লা বার এর শিক্ষানবিশ আইনজীবী মো: মুক্তার হোসেন। বক্তারা অনুষ্ঠানে বক্তব্যের মাধ্যমে পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের দাবীসমূহ তুলে ধরেন-বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবী তালিকা ভুক্তিকরনের জন্য লিখিত পরীক্ষা চিরতরে বাদ দিতে হবে; এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ৪০ নম্বরের এবং একবার এমসিকিউ পাশ করলে আর দ্বিতীয়বার আর এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে হবে না এবং কোন নেগেটিভ মারকিং থাকবে না; প্রতি বছর ২টি পরীক্ষা নিতে হবে; আইনজীবী তালিকাভুক্ত পরীক্ষায় জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সম্পৃক্ততা প্রত্যাহার করে শুধুমাত্র বার কাউন্সিলের অধিনে পরীক্ষা নিতে হবে; পরীক্ষার ফলাফলে সংক্ষুব্ধ যে কোনো শিক্ষার্থী বা যে কোনো ব্যক্তি তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার খাতা পূণঃপরীক্ষণের সুযোগ রাখতে হবে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবী তালিকা ভুক্তির ক্ষেত্রে ২০১২ সাল থেকে মেধা যাচায়ের নিমিত্তে পূর্বের ২ স্তরের পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে ৩ স্তরের পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেছে। যদিও বিশ্বের কোন দেশে আইনজীবী তালিকা ভুক্তির ক্ষেত্রে এরুপ ৩ স্তরের পরীক্ষা পদ্ধতির নজীর নেই। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও শুধু ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪০ নম্বর এবং ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে আইনজীবী তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু অত্যান্ত দুখের বিষয় আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী অর্জনের পর বেতন বিহীত স্বাধীন পেশায় কর্মে প্রবেশের ক্ষেত্রে বার বার নানা বিড়ম্বর শিকার হতে হচ্ছে, যা সাংবিধানিকভাবে মনবতার পরিপন্থী। প্রতি বছর ২ বার আইনজীবী তালিকা ভুক্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ৩ বছর পরও পরীক্ষা হচ্ছে। এই রকম অনিয়ম হওয়ার ফলে বাংলাদেশে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী মানবেতর জীবন যাপন করছে।