সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় তৈরী পোশাক কারখানায় গ্যাস গন্ধ্যে শ্রমিকরা হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় অসুস্থ্য অবস্থায় কারখানাটির ৪২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে আশুলিয়ার বেরন এলাকার নারী ও শিশু হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার গোরাট এলাকায় অবস্থিত অরবিটেক্স নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানার ৩য় তলায় এ অসুস্থ্যতার ঘটনা ঘটেছে।
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আশুলিয়ার গোরাট এলাকার অরবিটেক্স নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যান্য শ্রমিকরা অসুস্থ্য শ্র্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া অসুস্থ্য এক নারী শ্রমিক বলেন, সকাল থেকে দুপুরের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত আমরা কাজ করলেও খাবার খেয়ে ২ ঘন্টা কাজ বন্ধ রাখি। বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার পর কর্তৃপক্ষ জোর করে আমাদেরকে কাজ করায়। কাজ করার একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে গ্যাসের গন্ধে সবাই মাথা ঘুরাইয়া অজ্ঞান হয়ে যাই।
কারখানাটির তৃতীয় তলার এক কোয়ালিটি ইনস্পেক্টর বলেন, বিকেলে হঠাৎ দেখি ১৩ নাম্বারের (সিরিয়াল) একজন পরে গেছে। এরপর ১০ নাম্বারের আরেকজন পরে যায়। সবাই গ্যাসের গন্ধে নাক মুখ চেপে ধরে। বুঝা যায় উল্টা দিকে গ্যাস মারছে। আমার বমি ভাব আসলে আমি ওয়াশরুমে গেছি। এরপর ফিরে এসে দেখি আরেকজন অজ্ঞান হয়। এরপর আমিও জ্ঞান হারাই।
কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, কারখানায় কোথাও কোন গ্যাস ছাড়া হয়নি। তবে কি কারণে এমন হলো আমরা এখনো জানতে পারি নাই। তিন তলার একটা ফ্লোরে এ ঘটনা ঘটেছে। মুজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ওরা কাজ বন্ধ করে রাখাছিলো। আমরা বুঝাইয়া ওদেরকে কাজ করাই। এর আধাঘন্টা পর থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়। কয়েকজন অসুস্থতার কথা বললে বাকিরা আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে যান।
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক কৌশিক বাশার বলেন, শ্রমিকদের অসুস্থতার প্রকৃত কারণ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে প্রাথমিকভাবে এটি মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা বলে মনে হচ্ছে। তাদেরকে হাসাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।