দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩, আটক ৫

স্টাফ রিপোর্টার : সাভার দলিল লেখক সমিতি কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দের জেরে নবগঠিত আহ্বয়ক কমিটির আহ্বায়ক আফছার মুক্তারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী পন্থি মেহেদী হাসান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে আফসার মোক্তার ও তার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে মেহেদি হাসান ও তার অনুসারীরা। এঘটনায় সিনিয়র দলিল লেখক আফসার মুক্তারসহ তিনজন আহত হলে তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সাভার সাব-রেজিস্টার অফিসের সামনে আফসার মুক্তারের নিজ কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় সেনাবাহিনী ৫ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট দেশের পট পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে সাভার দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির অফিসে বসে আগের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে বিএনপি পন্থি সিনিয়র দলিল লেখক আফসার মুক্তারকে আহ্বায় ঘোষনা করা হয়। পরবর্তীতে মেহেদী হাসান নামে অপর একজন দলিল লেখক এবং তার অনুসারীরা মেহেদীকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সন্ধ্যায় আফসার মোক্তারের উপর হামলা চালায় মেহেদী হাসান ও তার লোকজন। এঘটনায় আফসার মোক্তার, সিফাত ও পল্লব আহত হয়। এঘটনায় সেনাবাহীনর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে রাসেল, জামিল, মেহেদী হাসান, শফিক ও আজহারকে আটক করে পোলিশে সোপর্দ করেছে।

ভুক্তভোগী দলিল লেখক আফসার মোক্তার বলেন, সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্যরা আমাকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। পরবর্তীতে আওয়ামী পন্থি দলিল লেখক মেহেদি হাসান ওই কমিটিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়। আমি মেহেদীকে বলেছি আমিতো ইচ্ছা করলেই কাউকে কমিটিতে ঢুকাতে পারিনা। কারন সমিতির সদস্যরা কমিটি গঠন করেছে এবং আমাকে আহ্বায়ক করেছে। আমি তাকে বিষয়টি নিয়ি সমিতির সদস্যদের সাথে কথা বলতে অনুরোধ করতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে লোকজন নিয়ে এসে আমার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। এখানে আমার অপরাধটা কি? আমি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাই।

তবে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, সাব রেজিস্ট্রি অফিসে মারামারির ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!