সাভারে নরসুন্দরকে আ. লীগ নেতার মারধর-জুতাপেটা, থানায় মামলা

সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় সেলুনে ‘দাড়ি কামাতে দেরি হবে’ বলতেই এক নরসুন্দর ও তার ছেলেকে মারধরসহ জুতাপেটার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরে আহত ওই নরসুন্দরের ছেলেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও তার সহযোগীদের মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেঙ্গুরী এলাকায় এতিম মার্কেটের বাদল হেয়ার কাটিং নামক সেলুনে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন, সেলুনের মালিক নরসুন্দর বাবুল চন্দ্র শীল (৪০) ও তাঁর ছেলে বাদল চন্দ্র শীল (১৯)। বাবার সেলুনের পাশেই মুদি দোকানদারি করেন ছেলে বাদল। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলো সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় টেঙ্গুরী কোনাপাড়া এলাকার মৃত জিয়ার আলী মন্ডলের ছেলে মোঃ শহিদ ওরফে ডন (৫২), একই এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফ (৩৫) ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে হিমেলসহ (৩২) অজ্ঞাত পরিচয় ২-৩ জন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, টেঙ্গুরী কোনাপাড়া এলাকার সেলুনের মালিক বাবুল চন্দ্র শীল একজনের চুল কাটছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ ওরফে ডন সেলুনে প্রবেশ করেই ওই ব্যক্তির চুল কাটা বাদ দিয়ে তাঁর নিজের দাঁড়ি কামানোর (সেভ) নির্দেশ দেন। তার উত্তরে নরসুন্দর বাবুল ১০ মিনিট দেরি হবে জানালে শহীদ চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি মারধরসহ নরসুন্দরকে জুতাপেটা করতে থাকেন। বিষয়টি দেখে পাশর্^বর্তী মুদি দোকানদার নরসুন্দর বাবুল চন্দ্র শীলের ছেলে বাদল চন্দ্র শীল এদিকে এসে বাবাকে মারার প্রতিবাদ করেন। এঘটনায় শহীদ ও তাঁর সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠ দিয়ে বেধরক মারধর করে তার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ক্যাশবক্স থেকে নগদ ৩৬ হাজার টাকা লুট করে নেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা বাদলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আমি এ ঘটনা সম্পর্কে জানি না। তবে ঘটনা সত্য হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাঁদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!