সাভার প্রতনিধিঃ সাভারে স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে গুলিবর্ষণ ও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে জমজম নূর বিল্ডাস নামের একটি আবাসন কোম্পানির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানার একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বুধবার সকালে সাভারের হেমায়েতপুরের আলমনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০ টার দিকে আলমনগর এলাকায় সরকারি খালের বড় একটি অংশসহ খাসজমি এবং এক হিন্দু পরিবারের পৈত্রিক জমিও দখলের জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অস্থায়ী সিমানা প্রাচীর নির্মান শুরু করে জমজম নূর বিল্ডার্স। এ সময় এলাকাবাসী দখলারদের বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে জমজম নূর বিল্ডার্সের সন্ত্রাসী বাহিনী হাতবোমা বিস্ফোরণ ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানার একাধিক টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এসময় ঘটনাস্থলে হেলমেট পরিহিত শতাধিক যুবককে দেখা গেছে। যারা যমযম নূর বিল্ডার্স এর পক্ষে লাঠিসোঠা নিয়ে জমি দখল কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেছেন। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজন চন্দ্র দাস বলেন, তাদের পৈত্রিক প্রায় ৬৩ শতাংশ জমি জমজম নূর বিল্ডার্স দখলে নেয়ার জন্য বালু ফেলে ভরাট করেছে। বাধা দিলে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। রেকর্ডিং জমির মালিক হওয়া সত্ত্বেও জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। এবিষয়ে তিনি সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালের বড় একটি অংশসহ খাসজমি এবং এক হিন্দু পরিবারের পৈত্রিক জমিও ভরাট করে সেখানে ইতিমধ্যে দীর্ঘ একটি রাস্তা নির্মাণ ও বেশ কিছু প্লট তৈরি করেছে জমজম নূর বিল্ডার্স।
জমজম নূর বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী নূর মোহাম্মদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো সব আমাদের জমি। আমাদের জমিতে আমরা সীমানা প্রাচীর দিচ্ছি। সন্ত্রাসী নিয়ে গুলিবর্ষন ও হাতবোমা বিস্ফোরনের বিষয়ে বলেন আমরা গুলি কিংবা হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটাইনি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বোমা বিস্ফোরণ বা গুলি বর্ষনের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে সাভার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।