আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় মেহেদী হাসান ওরফে শামীম নামের এক যুবককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মারুফ ভূঁইয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় রবিবার দুপুরে এঘটনায় আশুলিয়ায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। এর আগে গত ২৩ শে নভেম্বর রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে মারধর করেন মারুফ ভুঁইয়া ও তার সহযোগীরা।
অভিযুক্ত মোঃ মারুফ ভূঁইয়া (২৫) আশুলিয়া থানাধীন জামগড়ার এলাকার মোরশেদ ভূঁইয়ার ছেলে। তার অন্য সহযোগীরা হলো একই এলাকার সাবেক মেম্বার আফছারের ছেলে মোঃ রাজু (২৮), শাহিন সিকদার বকরের ছেলে কামরুল সিকদার রুবেল (২৭), মোঃ জমিরুলের ছেলে মোঃ শাওন (২০), লাল মিয়ার ছেলে মোঃ সোনা মিয়া (৪৮), শাহদাৎ হোসেনের ছেলে সোহাগ (৩৩), মোঃ নাহিদ (২২), এনামুল হক (৩৫), মোঃ জাহিদ (২৬)।
মারধরের শিকার ভুক্তভোগী মোঃ মেহেদী হাসান (২৪) ওরফে শামীম টাঙ্গাইল জেলার ধুলবাড়ী গ্রামের শাহীন সিকদারের ছেলে। সে আশুলিয়ার জামগড়া ভূঁইয়াপাড়া মহল্লায় মনসুর ভূঁইয়ার বাড়ীতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি তৈরী পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, জামগড়ার মোরশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মারুফ ও তার সহযোগী রাজু, শাওন, কামরুল, সোনামিয়া, সোহাগ, নাহিদ, এনামুল হক ও জাহিদ তারা আমার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত্রুতা সৃষ্টি করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৩ শে নভেম্বর রাত ১০টার দিকে তারা আমার বাসায় ঢুকে আমাকে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে নির্জন এলাকায় যায়। পরে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে আমার গায়ের গেঞ্জি ছিড়ে চোখ বেঁধে ফেলে। এরপরে মারপিট করতে থাকে। এসময় ধারালো চাকু ও খুর দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পার মেরে জখম করে তারা।
একপর্যায়ে আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুঁটে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। কোন উপায় না পেয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এখন থানায় কেন অভিযোগ করলাম সেজন্য তারা ফোনে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি আতঙ্কে আছি। অবিলম্বে হামলাকারীদেরকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদানে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তুলে নিয়ে মারধরের বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে না পেয়ে পরে অভিযুক্ত মারুফের বাবা মোর্শেদ ভূঁইয়াকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এঘটনা সম্পর্কে আমি জানি না এবং আমার ছেলেও জানে না।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ চৌধুরী অমিত বলেন, মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।