চক্রের ২ হোতা গ্রেপ্তার, দুটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় মোটরসাইকেল চুরি করার ঘটনায় চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারও করা হয়। সেমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফরিদপুর জেলার সদর থানা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে নূর মোহাম্মদ মোনা (৩০) ও একই থানার তালতলা এলাকার সালাম খন্দকারের ছেলে সজীব খন্দকার (৩৩)। তবে চোর চক্রের প্রধান নাসির খাঁ এখনও পলাতক রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে গ্রেপ্তারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে তা অন্যত্র বিক্রি করে আসছিলো। চক্রের সদস্যরা ১ মিনিটেই মাষ্টার কি (প্রধান চাবি) ব্যবহার করে মোটরসাইকেল চুরি করতো। তারা ২০২০ সাল থেকে একটি চক্র গঠন করে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিলেন।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকার একটি বিয়ে বাড়ি থেকে ইয়ামাহা কোম্পানির (আর ওয়ান-৫, ভার্সন-৩) একটি মোটরসাইকেল চুরি করে চোর চক্রের সদস্যরা। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ফরিদপুর জেলার বঙ্গেশরদী এলাকা থেকে প্রথমে আসামি মোঃ সজিবকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চক্রের অপর সদস্য নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নুর মোহাম্মদের শ্বশুরবাড়ি থেকে চুরি করা মোটরসাইকেলটিসহ আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল চোর চক্রের প্রধান নাসির খাঁকে গত বছরের ১৪ই ডিসেম্বর মোটরসাইকেল চুরি মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। নাসির খাঁ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় তাকে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে গত ১৯ই জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে ২৬ই জানুয়ারি ফের মোটরসাইকেল চুরি করে নাসির ও তার সহযোগীরা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অমিতাভ চৌধুরী অমিত বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া চক্রটির বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!