সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা, বিবস্ত্র ছবি ধারণ ও সহায়তা করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ধারণ করা ছবি জব্দ করা হয়। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ঢাকার আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ।
এর আগে, গত ২৭ জানুয়ারি রাত ৯ টায় আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার হাশেম কলোনীর ভাই ভাই ভিলার নিচতলায় এ ধর্ষণ চেষ্টার এই ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার ভোররাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব সাহা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আশুলিয়ার ভাদাইল তালতলা এলাকার আবুল বাশারের ছেলে মোঃ জাহিদ হাসান (৩১), খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার বেতবুনিয়া এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ সোহাগ গাজী (২২), ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মধ্য ধনিয়া এলাকার মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন দিপু (২৭) ও পটুয়াখালি জেলার সদর থানার নন্দীপাড়া এলাকার মোঃ জাফর মৃধার ছেলে মোঃ সজল মৃধা (৩০)। তারা সবাই আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর পূর্ব পরিচিত সজীব সরকার। গত ২৭ জানুয়ারি ভুক্তোভোগী কলেজছাত্রীর মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গেলে ফোনটি দেখানোর জন্য সজীবের বাসায় যায়। সজীব মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করে। সজীবের রুমমেট ইসমাইল হোসেন দিপু কৌশলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। এসময় তার সহযোগীদের ডেকে এনে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সজীবসহ ভুক্তভুগীকে মারধর করে। পরে সোহাগ গাজী সজীবকে ওই বাসার ছাদে নিয়ে যায়। এসময় জাহিদ ভুক্তভুগী কলেজছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং বিবস্ত্র ছবি ধারণ করে।
এ ঘটনা কাউকে জানালে ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এসময় ভুক্তভোগী ডাক-চিৎকার করলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে এই ঘটনার কথা জানায়। পরে ভুক্তভোগীর বাবা হারুন অর রশিদ এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) অপূর্ব সাহা বলেন, মূল আসামিসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছে থাকা বিবস্ত্র ছবিও জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছে।