সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারের বিনোদবাইদ এলাকায় দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কাঠমিস্ত্রী সোহেল মোল্লা (২৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা ও কিশোর গ্যাং লিডার আল আমিন (১৯) ও তার সহযোগী সজিব হোসেনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। শুক্রবার র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর ও সাভার মডেল থানাধীন আনন্দপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ আল আমিনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। সে সোহেল মোল্লা হত্যা মামলার প্রধান আসামী। তার সহযোগী সজিব হোসেন ঢাকা জেলার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, গত ১১ মার্চ রাতে কিশোর গ্যাং লিডার আল আমিন ও তার সহযোগীরা সিগারেট খাওয়ার কথা বলে কাঠ মিস্ত্রি সোহেল মোল্লাকে সাভার বাজার রোডের বিনোদবাইদ এলাকায় একটি মার্কেটের পিছনে পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় ডেকে নিয়ে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবকে অবহিত করলে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাদ দিয়ে র্যাব জানায়, প্রাথামিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় কিশোর গ্যাং লিডার আল আমিন পূর্বের শত্রুতার জেরে পরিকল্পনা অনুযায়ী পকেটে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে কাঠমিস্ত্রি সোহেল মোল্লার বুকের বাম পাশেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামী আল আমিন উক্ত হত্যা কান্ডের ব্যবহৃত চাকুটি সহযোগী সজিব হোসেন এর নিকট জমা রেখে বরিশাল, ঝালকাঠিসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।
এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদেরকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।