সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারে সাহারা পেট্রোল পাম্পের পাশে অবস্থিত মোটরসাইকেলের গ্যারেজসহ কয়েকটি দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, রাত ৮ টার দিকে সাভার পৌর এলাকার রেডিও কলোনি মহল্লার সাহারা পেট্রোল পাম্পের পাশে দুই চাকা নামে একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেখান আগুনের তীব্রতা বাড়লে পাশের দোকানগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে সাভার ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ও জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ৪টি ইউনিটের আধাঘণ্টা চেষ্টায় রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়াস সার্ভিস
সাভার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহফুজুর রহমান জানান, স্থানীয়রা ওই অটোমোবাইল কারখানা থেকে আগুন ও ধোয়া দেখতে পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে সাভার ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে জিরাবো মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের আরো ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করলে প্রায় আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন সূত্রপাত বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা। তবে তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানান যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
অন্যদিকে সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ভোর পৌনে ৪ টার দিকে আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় আগুনের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, ওই এলাকার জামাল মেডিকেল হল নামের একটি দোকানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের মেসার্স আলম ট্রেডার্স নামে একটি মুদির দোকান ও বিস্কুটের গুদামে। খবর পেয়ে জিরাবো ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট প্রয় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জিরাবো মডার্ন ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ আবু সায়েম মাসুম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর ভেতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে অনুসন্ধান চলছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।