সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারে দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় একটি ক্যাবল অপারেটর অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা ওই অফিসের যন্ত্রাংশ লুট করে নেয়ায় বন্ধ রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ গ্রাহকের ডিস সংযোগ। সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার পানধোয়া বাজারে গিয়ে আমবাগান ক্যাবল অপারেটরের অফিসে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের চিত্র দেখা যায়। এর আগে রবিবার রাত ১০ টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ৮-১০ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ওই ক্যাবল অপারেটর অফিসে হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী চায়ের দোকানী মোঃ স্বপন বলেন, আমার দোকানের পাশেই ওই ডিস অফিস। রাত ১০ টার দিকে আমি দোকানেই ছিলাম। তখন ডিস অফিসের সাটার লাগিয়ে চলে যায় কর্মচারীরা। হঠাৎ ৩-৪টি মোটরসাইকেলে ৮-১০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাকে তারাতারি দোকান বন্ধ করতে বলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশের ডিস অফিসের তালা ভেঙ্গে ভিতের ভাংচুর চালিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।
ভুক্তভোগী আমবাগান ক্যাবল অপারেটরের স্বত্ত্বাধিকারী মমিন উল্লাহ মমিন জানান, এর আগে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় আমার প্রায় আড়াই লাখ টাকার ডিস সংযোগের তার কেটে নিয়ে গিয়েছিলো সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সুরাহা হয়। এখন আবারও নতুন করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছি। গতকাল রাতে সন্ত্রাসীরা আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। মূল্যবান যন্ত্রাংশ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় এলাকার প্রায় সাড়ে তিনদশ গ্রাহকের ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে। আগের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে আমার ধারনা।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেন, জরুরি সেবা নম্বরে কল পেয়ে আমি রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পানধোয়া বাজারের একটি ক্যাবল অপারেটর অফিসে ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা মিলেছে। তবে কারা এঘটনার সাথে জড়িত সে বিষয়পে তদন্ত চলছে। তদন্ত পরবর্তী এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।