সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে প্রকাশ্যে এক শিক্ষককে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ছিনতাইকারীরা ভুক্তভোগীর চোখ বেঁধে বেধরক মারধর করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীর ভাই মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক হাবিবুর রহমান। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের রাজাশন আইচা নোয়াদ্দা এলাকার একটি শাখা সড়কে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন মাদ্রাসা শিক্ষক হাবিবুর রহমান। তিনি আইচা নোয়াদ্দা এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর ভাই মাহবুবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য দুপুরে আমার বড় ভাই নবীনগর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৯ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পরে বাসযোগে সাভার বাসস্ট্যান্ডে নামেন এবং অটোরিকশা করে তিনজনে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে পেছন থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার এসে অটোরিকশাটির গতিরোধ করে। এসময় প্রাইভেটকার থেকে দুজন ব্যক্তি বের হয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার ভাইকে অটোরিকশা থেকে নামতে বলেন। আতঙ্কে আমার ভাই নামতেই তাকে ধরে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারের ভেতর উঠিয়ে নেয় তারা। এরপর তার চোখ বেঁধে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা ৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় প্রাইভেটকারে থাকা আরও চারজন মিলে আমার ভাইকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে ফেলতে বলে। টাকা ছিনতাই শেষে ভাইকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ফেলে রেখে যায় ছিনতাইকারীরা।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় আমার ভাইকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ থাকলেও আমরা পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন। এঘটনায় রাতেই গতকাল রাতে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। এঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করছি। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।