সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারে এক ব্যবসায়ীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে হত্যার অভিযোগে দাফনের ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। রবিবার সকালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূরের উপস্থিততে সাভার পৌরসভার ঘাসমহল এলাকার আল বেদা বাইতুল নুর জামে মসজিদ কবরস্থান থেকে নিহতের মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। পরে নিহতের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম মোঃ জামাল (৫৩)। সে সাভারের দক্ষিণ রাজাশন এলাকার মৃত ফরিদ গোলদারের ছেলে। জামাল পেশায় তেল-মবিল ও খামার ব্যবাসায়ী ছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ফোরকান হাকিম (৪৮), লোকমান হাকিম (৫১), গোফরান হাকিম (৪৫) ও কাঞ্চন শীয়ালি ওরফে দ্বীন মোহাম্মদ (৫৫)।
নিহতের ছোটো ভাই ও মামলার বাদী ইমরান হোসেন গোলদার অভিযোগ করেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টার দিকে আমার ভাইকে ফোন করে বাড়ির প্রতিবেশী ফোরকান হাকিমের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ১২ টার দিকে আমার কাছে ফোন আসে আমার ভাই নাকি অসুস্থ হয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে দেখি আমার ভাই অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে এবং তার মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন। এরই মধ্যে সেই বাড়ির লোকজন আমাকে বলে আমার ভাই স্ট্রোক করেছে। পরে আমার ভাইকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসাকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সে সময় পরিস্থিতি না বুঝে শোকে মর্মাহত হয়ে আমার ভাইকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে আমাদেরকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। আসলে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আমার ভাই মারা যাওয়ার পর থেকে ফোরকান হাকিমের বাড়ি তালাবদ্ধ থাকায় আমাদের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। এজন্য কবর থেকে ভাইয়ের মরদেহ উত্তোলনের জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করায় আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই আদেশের প্রেক্ষিতে আমার ভাইয়ের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিততে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।