নিটার শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্র নিয়ে চিন্তার অবকাশ নেই : বুটেক্স ভিসি

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর শিক্ষার্থীদের বাস্তব কর্মক্ষেত্র নিয়ে চিন্তার কোন অবকাশ নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান। সোমবার নিটারের কেন্দ্রীয় মাঠে অনুষ্ঠিত ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. অধ্যাপক শাহ্ আলিমুজ্জামান, নিটারে আজকে যারা প্রথম বর্ষে পা রেখেছে, যারা ইঞ্জিনিয়ার হতে এসেছে তারা আসলেই ভাগ্যবান। পরবর্তীতে বাস্তব কর্মক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার কোন অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি না। আমার জানা মতে বাংলাদেশে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে এসে মালিক পক্ষ চাকুরীর প্রতিশ্রুতি দেয় এমন আর কোন প্রতিষ্ঠান আছে বলে আমার জানা নেই।

নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন একাডেমিক কার্যক্রমে জড়িত থাকার পাশাপাশি ইন্টারনেট ও টেকনোলজির সহযোগীতা নেয়ার আহবান জানান বুটেক্স ভিসি।

নিটারের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এর  প্রেসিডেন্ট জনাব মোহাম্মদ আলী খোকন এর সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিটিএমএ ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোঃ ফজলুল হক, বিটিএমসির পরিচালক হাওলাদার মোঃ রকিবুল বারী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন, বিটিএমএ ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোঃ সালেউদ্দ জামান খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিটারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জোনায়েবুর রশীদ।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, আমি নিটারের গভর্নিং বডির দায়িত্ব নেয়ার পর টেক্সটাইল ও ইন্ডাস্ট্রিয়ালে এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশাপাশি সিএসই ও ইইই বিভাগ চালু করা হয়েছে। কারণ একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারকে বৈচিত্রময় প্রকৌশল শিল্প সম্পর্কে জানতে হবে। চতুর্থ  শিল্প বিপ্লব ও অটোমেশন মেশিনারিজ সম্পর্কে তার জানা থাকতে হবে। একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার যাতে সঠিকভাবে কস্টিং, প্লানিং, প্রোডাকশন ক্যালকুলেশন করে ইন্ডাস্ট্রিকে নেতৃত্ব দিতে পারে সেই জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এমবিএ কোর্সও নিটারে চালু করা হয়েছে।

নিটারে আজ যারা ভর্তি হয়েছে আগামীদিনে তারা টেক্সটাইল শিল্পে নেতৃত্ব প্রদান করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নিটারে যারা ভর্তি হয়েছে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তে কোন ভুল নেই। নিটারের ৯টি ব্যাচের গ্রাজুয়েটদের মধ্যে একজন গ্রাজুয়েটও বেকার নেই। আমি বলেছি যদি একটি ছেলেও বেকার থাকে তাহলে তার সিভি বিটিএমএ অফিসে পাঠিয়ে দিলে আমি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেয়ার ঘোষনা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!