প্রেমিকাকে বালিশ চাপায় হত্যা করে ফ্যানে ওড়না ঝুলিয়ে রাখে রাশেদ

সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমিকাকে হত্যার পর ঘটনা আড়াল করতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছিলে প্রেমিক রাশেদ হোসেন (২৩)। তবে মরদেহ উদ্ধারের দুই দিন পর অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে ঘটনার আসল রহস্য। শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত রাশেদকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে র‌্যাব-৪ এর সাভার নবীনগর ক্যাম্পের একটি দল আশুলিয়ার শিমুলিয়া থেকে রাশেদকে আটক করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে।

নিহত রুনা আক্তার (২৬) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার সাছিয়াখালী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। গ্রামে রুনার আগে বিয়ে হলেও সেই সংসার ভেঙে যায়। সেই ঘরে রুনার ৬ বছরের শিশু সন্তান গ্রামে রেখে গত ৩ মাস আগে পোশাক শ্রমিকের চাকুরি নিয়ে আশুলিয়ায় বসবাস শুরু করেন। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত হত্যাকারী রাশেদ রাজবাড়ীর পাংশা থানার বরুরিয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় পরিবহণ শ্রমিক।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়ার ওয়ারেস আলীর মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে রুনা নামে পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলছিল এবং ঠিক নিচে মেঝেতে পড়েছিল রুনার মরদেহ। প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে আত্মহত্যার ঘটনা। যেন ওড়না ছিড়ে লাশ নিচে পড়ে গেছে। মরদেহটি উদ্ধারের দুই দিন আগে রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা কর হয় রুনাকে। প্রাথমিক সুরতহালেই বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় অভিযান পরিচালনা করে প্রেমিক রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নোমান সিদ্দিক বলেন, হত্যাকারী খুব চতুর। হত্যার পর তিনি ওই বাসাতেই বসবাস করছিলেন। মরদেহের দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশের খবর দেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যার শিকার রুনার কয়েক রুম পরেই রাশেদ আরেক কক্ষে থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে প্রেমের সস্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!