ইমান্দিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ

সাভার প্রতিনিধিঃ সাভেরের ইমান্দিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে। সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ৬০ নং ইমান্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহিদের বিরুদ্ধে দূর্নীতি অনিয়ম ও সরকারী টাকা আত্বসাতের এই অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, দূর্নীতির মাধ্যমে ( স্লিপ ফান্ডের) টাকা আত্মসাত, অনিয়ম ও অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত ইমান্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহিদ। আর তার এই কাজের সহযোগী ছিল বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইবনে মাসুদ। সে তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। দুই জনের যোগসাজসে সরকারি স্লিপ ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তারা। এসব অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী শাহানা ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছেন বলে জানা যায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ম্যানেজিং কমিটির গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাংগুল দেখিয়ে অবৈধ উপায়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হন জাহেদুল ইসলাম। কমিটিতে দাতা সদস্যদের নাম থাকার কথা থাকলেও ভুয়া একজনকে দাতা সদস্য সাজিয়ে প্রভাব খাটিয়ে কমিটি তৈরী করেন। পরে দুই দফায় বিদ্যালয়ের সরকারি অনুদান খাতের ( স্লিপ ফান্ডের ) ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।

নিয়ম অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হতে হলে অত্র বিদ্যালয়ে তার সন্তানকে লেখাপড়া করাতে হবে কিন্ত এখানে হয়েছে তার উল্টো , আগে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়, পরে তার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করান। কিন্ত তার সন্তান একদিনের জন্যও স্কুলে যায় নাই বলে জানা যায়। শুধু সভাপতি হওয়ার জন্য তার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছিলো।

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী শাহানা ইসলাম জানান, ওই কমিটি যখন হয় তখন অসুস্থ্যতার কারনে আমি ছুটিতে ছিলাম। আর তখন ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইবনে মাসুদ। কমিটি করার পরই সভাপতি জাহেদুল ইসলাম সরকারী অনুদান ( স্লিপ ফান্ডের) ৬৩ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য চেকে স্বাক্ষর করতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমি জানাই ছুটি শেষে স্কুলে এসে চেক সই করে দিবো, ছুটিতে থাকা অবস্থায় তো আমি চেকবইয়ে সহি করতে পারি না। তখন সভাপতি জাহেদুল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে সভাপতি জাহেদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইরফান মাসুদ সাভার মডেল থানায় চেক হারানোর সাধরণ ডায়েরী করে ব্যাংক থেকে নতুন চেক বই উত্তোলন করে ৬৩ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে। তবে সেই টাকা কোথায় খরচ করা হয়েছে তার কোন নথি স্কুলে পাওয়া যায় নাই। এভাবে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে প্রধান শিক্ষকের সাথে মারমুখি আচরণ করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। পরবর্তীতে আরও ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। সেই টাকায় একটা শ্রেনী কক্ষের ফ্লোরের কাজ করা হয়েছে আর কোন কাজ বা খরচের কোন ভাউচার স্কুলে পাওয়া যায়নি

এসব অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা ইরফান মাসুদের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তাকে মুঠো ফোনে পাওয়া যায় নাই। এছাড়া সাবেক সভাপতি জাহেদের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মুঠো ফোনে একাধকিবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!