রাজু চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার-অপহৃত ব্যবসায়ী, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় এক হাউজিং ব্যবসায়ীকে অপহরন ও জমি দখলের ঘটনায় অপহৃতকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। অভিযানে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকা থেকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে উদ্ধার এবং অপহরনকারী চক্রের মূলহোতাসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থিকে দুটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশী রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৫০ রাউন্ড গুলি, খালি খোসা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৪ এর সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- অপহরনকারী চক্রের মূলহোতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুন প্রজন্ম দলের সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি, শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যূ গ্রুপের মুলহোতা মোঃ আব্দুল জলিল (৩০) ও তার সহযোগী ময়মনসিংহের মোঃ লাল মিয়া (৩৩)।

র‌্যাব-৪ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, একটি অপহরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন চারাবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা জলিল সহ দুইজনকে আটক করেন তারা। আটক জলিলের কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি অবৈধ বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে ঘটনার অধিকতর তদন্তে, আসামীরা অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন পজিশনে রয়েছে এ ধরনের চারটি ছবি উদ্ধার করে র‌্যাব-৪। তারপর গ্রেপ্তারকৃতদের নিয়ে আশুলিয়ার রাজু জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে গুলিসহ আরও দুইটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল এবং রাইফেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত বিদেশী পিস্তল এবং রাইফেলগুলো আশুলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু আহমেদর নামে নিবন্ধিত।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃ জলিল জানায়, আশুলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু রাজু তার নামে নিবন্ধিত অস্ত্রগুলো মূলত অপহরণ, চাঁদাবাজি, হুমকি ও জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকমের জন্য অর্থের বিনিময়ে জলিল ও তার সহযোগীদের ভাড়া দিয়ে থাকে।

রাজুর বৈধ অস্ত্রগুলোই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে জলিলসহ অন্যান্য বিএনপির সন্ত্রাসীদের কাছে ভাড়া দিয়ে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। রাজুও এলাকায় চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতা করে গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

র‌্যাব-৪ এর সিপিসি-২ নবীনগর ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রাকিব মাহমুদ খান বলেন, প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, অপহরন চক্রের মূলহোতা জলিল বিরোধী রাজনৈতিক দলের একজন সক্রিয় কর্মী। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীল করতে এবং তার অপরাধমূলক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সংঘটিত করতে জলিল সক্রিয় রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, চাঁদাবাজী, ভূমি দখল, মারামারীসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ভবিষ্যতেও এরূপ অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!