সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায়ে ডেইরী ফার্ম ব্যবসায়ী ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার কাজিমুদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা আব্দুল লতিফকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার তাঁকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল লতিফ নিহত কাজিমুদ্দিনের বড় ভাই মৃত আলী মোহাম্মদ খানের ছেলে। লতিফের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন যাবত তাঁর চাচাদের সঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগবিতন্ডা লেগেই থাকত।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা জায়, গত ৬ই ফেব্রুয়ারি রাতে ভুক্তভোগী তাঁর বাড়ির পাশের ডেইরি ফার্মে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেদিনও ভুক্তভোগী ও লতিফের মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে লতিফ উত্তেজিত হয়ে রুমে থাকা বটি দিয়ে ভুক্তভোগীর গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। পরে ৭ই ফেব্রুয়ারি সকালে নিহতের স্ত্রী সেই ঘরের দরজার তালা খুলে ভেতরে ঢুকে বিছানার ওপরে স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। এ সময় নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের জখম ছিল। পুলিশকে অবহিত করলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, গত নির্বাচনে অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে তাঁর বাক বিতন্ডা হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনে কাজিমুদ্দিনের সমর্থিত প্রার্থী হারার পরে তাকে এ নিয়ে লজ্জা দেয়া হয়েছিল। তাঁর পরিবারের লোকজনও বিষয়টি জানতো। নিহতের স্বজন ও স্থানীয় কিছু ব্যক্তিবর্গ হত্যাকান্ডটিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলে ধারণা করে। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বলে খবর প্রকাশিত হয়। এছাড়া তাঁর আপন ভাতিজা এমন হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে এমন কোন ধারণা তাদের ছিলনা। তাই প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকান্ডকে নির্বাচনী সহিংসতা মনে করেছিল তাঁর পরিবার। হত্যাকান্ডের এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।