সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা। আয়োজিত মানববন্ধনে এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যগন, এলাকার নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের কয়েক’শ লোক উপস্থিত থেকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সোমবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ও মিরপুর সড়কের খেয়াঘাট এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়।
নিহত জাহের আলী ওরফে রমজান (৩৫) বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবো মসজিদ মার্কেট এলাকার শওকত আলীর ছেলে।
আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৩ মে বিরুলিয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাহের আলী নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে নির্মম ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এঘটনায় নিহতের পরিবার একাধিক হত্যা মামলার আসামী হত্যাকারী রহিমকে প্রধান আসামী করে সাত জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ এক নারীসহ দুই জনকে আটক করলেও মুল আসামী রহিমসহ অন্যদের আটক করতে পারেনি।
এদিকে আটক ওই নারী সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা ধরণের হুমকি ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মামলা তুলে না নিলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সবাইকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে হত্যা মামলার আসামীরা। এঘটনায় হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। অবলিম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
নিহত জাহেরের স্ত্রী সোহানা আক্তার জানান, চিহ্নিত সন্ত্রাসী রহিমদের সাথে নিহত রমজান ইসলাম জাহেরের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের সূত্র ধরেই সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করায় আমাদের হাসপাতালে যেতে বাঁধা প্রদানসহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করে হত্যাকারীরা। এখনও হত্যাকারীরা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভিতী দেখাচ্ছে। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।
নিহত জাহের আলীর মা বলেন, আমার ছেলেকে ১০-১২ জন মিলে কুপিয়ে মারছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আর যেন কোন মায়ের বুক খালি না হয়। সন্ত্রাসীরা এখনও আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারছেনা কেন? হত্যাকারীরা বলে তারা নাকি টাকা দিয়ে পুলিশকে কিনে নিছে। তাহলে কি আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার পাবোনা।
জানতে চাইলে বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য দিদার হোসেন বলেন, জাহেরী আলীকে হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকীদেরকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া হুমকি ও ভয়ভিতির বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।