সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রামে গত ১২ দিন ধরে গ্যাস না থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার অন্তত ১৫ হাজার পরিবার। এঘটনায় বাসাবাড়িতে নিরচিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর সাভার জোনাল অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। রবিবার দুপুরে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজ ফুলবাড়িয়া, নগরচর, ভরারী, পানপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত পাঁচ শতাধিক গ্রাহক এই ঘেরাও এবং বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন।
এসময় বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘসময় অফিসটির দায়িত্বে থাকা ব্যাবস্থাপককে তার কক্ষ অবরোদ্ধ করে রাখে। পরে তিনি আজকের মধ্যে গ্যাং সংকট সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অফিস ত্যাগ করে নীচে চলে আসেন। এসময় তারা প্রতিষ্ঠানটির মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, পাশ্ববর্তী সকল এলাকায় গ্যাস থাকলেও রাজ ফুলবাড়িয়া, নগরচর, ভরারী, পানপাড়াসহ অন্তত ২০টি গ্রামে গত ১২ দিন ধরে গ্যাস না থাকায় চরম দুর্ভোগ পড়েছে এখানকার বাসিন্দারা। বারবার অভিযোগ করেও গ্যাস সঞ্চালন চালু না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা তিতাস গ্যাস অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা একদিনের আলটিমেটাম দিয়ে গেছেন। একদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে আবারও তিতাস গ্যাস অফিস ঘেরাও করার ঘোষনা দেন তারা।
ফুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, গ্যাসের অভাবে আমাদের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি মানুষ রান্না করতে না পারায় না খেয়ে দিন যাপন করছে। এলাকার পোশাক শ্রমিক, ভাড়াটিয়ারা অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
অপর বাসিন্দা সোলায়মান মিয়া বলেন, গ্যাসের জন্য রান্না করতে না পারায় অনেকেউ অতিরিক্ত টাকা দিয়ে হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। তিনি অভিযোগ করেন আমাদের পাশের এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগধারিরা ঠিকই গ্যাস পাচ্ছে। অথচ আমরা বৈধ গ্রাহক হয়ে নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও গ্যাস পাচ্ছিনা। মূলত যত্রতত্র বাসাবাড়িসহ শিল্প কারখানাগুলোতেও অবৈধ সংযোগ থাকার কারনেই এলাকায় গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জোবিঅ প্রকৌশলী আবু সালে মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন জানান, ইতিপূর্বে সাভারের ফুলবাড়িয়া ও ধলপুরে লাইনে গ্যাস নেই মর্মে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। সমস্যাটি সমাধানে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই ওইসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানান তিনি।