সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারে বান্ধবীকে নিয়ে বেড়ানোর সময় সাকিব নামের এক যুবককে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরনকারী চক্রের সদস্যরা। টাকার জন্য সাকিব এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করলে র্যাব-৪-এর সিপিসি-২ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।
এঘটনায় রবিবার দুপুরে র্যাব-৪ এর সদ্যরা আশুলিয়ার এনায়েতপুর প্রফেসরের টেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত সাকিবকে উদ্ধারসহ অপহরকারী চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই যুবক বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে র্যাব অপহরনকারীদেরকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করলে রবিবার দুপুরেই গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার এনায়েতপুর প্রফেসরের টেক এলাকায় বান্ধবিকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন সাকিব। ভুক্তভোগী সাকিব (২২) আগে পোশাক কারখানায় চাকরি করলেও বর্তমানে বেকার। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলায় এবং সে বর্তমানে আশুলিয়ার এনায়েতপুর চালাবাড়ী এলাকায় ভাড়া থাকেন।
অপহরন ও মুক্তিপন দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- লোকমান হোসেন (২১), রোহান হোসেন (২০), শাকিল ইসলাম (২০), নাজমুল হোসেন (২০), আল আমিন (২০), রাহাত খান (২০), জিন্নাত (২০)। এ ছাড়া পলাতক ইয়াসিন (২১), রনি (২৪) ও সবুজ (২৩)।
ভুক্তভোগী সাকিব জানান, বান্ধবীকে নিয়ে এনায়েতপুরের প্রফেসরের টেক এলাকায় ঘুরতে বের হয়েছিলেন তিনি। পরে সেখানে থাকা বখাটে যুবকরা তাদের পথরোধ করে। একপর্যায়ে তাদেরকে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে বান্ধবীকে ছেড়ে দিলেও সাকিবের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বখাটেরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ আহমেদ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা কেউ দাবি করেছেন চাকরিজীবি এবং কেউ শিক্ষার্থী দাবি করলেও তাদের পেশার কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। তাই তাদের পেশা নিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ভুক্তভোগী যুবকের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।