সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ায় একটি ইলেকট্রিক মেকানিকের দোকানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় তিন কথিত সাংবাদিককে আটক করে র্যাবের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে র্যাব তাঁদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বুধবার দুপুরে চাঁদা দাবিকারীদেরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে আশুলিয়া থানার পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার মো. আমিনুল ইসলাম (৪৫), ফরিদপুর জেলার সালথা থানার মো. শামীম (৪৫) ও আশুলিয়ার ইয়ারপুর মণ্ডলপাড়া এলাকার মো. কাহিরুল ইসলাম ওরফে খাইরুল (৪৫)।
ভুক্তভোগী ব্যাবসায়ী আশুলিয়ার গাজীরচট সোনিয়া মার্কেট এলাকার ইলেকট্রনিক মেকানিক মফিজ শেখ (৫৫)। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার আবুডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ভুক্তভোগীর দোকানে গিয়ে ট্রেড লাইসেন্স আছে কি না, দেখতে চান গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। পরে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের আচরণে সন্দেহ হলে চাঁদার টাকা পরদিন মঙ্গলবার দিতে স্বীকার করেন ভুক্তভোগী। পরের দিন মঙ্গলবার ভুক্তভোগীর কাছে চাঁদা দাবি করলে সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁদের আটক করে র্যাবের টহল দলের কাছে তুলে দেন ভুক্তভোগী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেছিলেন। পরে দাবি করা টাকা নিতে এলে তাঁদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তাঁরা কথিত সাংবাদিক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাঁরা সাংবাদিক পেশার আড়ালে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান। এটাই তাঁদের মূল পেশা।