সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) গবেষণার জন্য রাখা ৩৮টি মোরগ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির পোল্ট্রি গবেষণা শাখায় গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে পবিত্র ঈদুল আজহার আগের রাতে (২৮ জুন) ৫ নম্বর ‘পিওর লাইন’ মেল শেড থেকে মোরগগুলো চুরি হয়। ঈদের ছুটির পর প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি জানতে পারলেও তা এতদিন গোপন রেখেছিলো।
গবেষণার জন্য রাখা ৫ নম্বর পিওরলাইন মেল সেডের মোরগগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মনিরুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগের দিন রাতের কোনো এক সময় মোরগগুলো চুরি হয়েছে। আমাদের এই সেডে ৩০০ টি মোরগ রয়েছে। এর মধ্যে আরআরআই ও হোয়াইট লেগুন জাতের ৩৮টি মোরগ চুরি হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, মোরগগুলোর গবেষণার দায়িত্ব রয়েছেন পোল্ট্রি উৎপাদন ও গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুন নাহার মনিরা। আমরা ডিউটি করি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। এরপর অফিস ছুটি হয়ে দায়িত্ব থাকে নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর।
চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে পোল্ট্রি উৎপাদন ও গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুন নাহার মনিরা বলেন, ‘এটা যদিও আমার গবেষণা তবে যে বিষয়টি জানতে চাইছেন সেটা প্রশাসনিক বিষয়। এ ব্যাপারে কথা বলা ঠিক হবে না। তাছাড়া আমি একটি মিটিং এ আছি। এটা সম্পূর্ণই প্রশাসনিক বিষয়।
চুরির ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি বিএলআরআইয়ের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা। অন্যদিকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার এই প্রতিষ্ঠানটিতে এমন চুরির ঘটনায় নিরাপত্তার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএলআরআইয়ের নিরাপত্তা প্রধান আহসান হাবিব বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে তারপর জানানো যাবে। আপনার কিছু বলার থাকলে আপনি সরাসরি এসে কথা বলুন।
এসব বিষয়ে জানতে বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।